বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আস্থা তৈরি করবে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

newsdesk
newsdesk newsdesk
প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, ২৭ জুন ২০২৪ | আপডেট: ৩:৩৮ অপরাহ্ন, ০৪ জুলাই ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে। আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সাথে আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সৈয়দা সালমা জাফরীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)সহ ১৩ টি দপ্তর-সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সংস্থার পক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।


তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুশাসনের ক্ষেত্রেও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অবদান রাখবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এক ধরণের প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণ থাকছে। এ বিষয়গুলো আরো জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়গুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করে আমরা বাইরে নিয়ে আসতে চাই। সুশাসনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো আরো বেশি জনসাধারণকে জানানো দরকার। তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হবে যে, সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ প্রক্রিয়াগুলো শুরু করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, জনগণের কাছে সরকারের একটা প্রতিশ্রুতি আছে, সেটি হল নির্বাচনী ইশতেহার। আগামী পাঁচ বছর দপ্তর-সংস্থা যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করবে, সেটিতে নিশ্চয়ই এ ইশতেহার মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রতিফলন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে থাকবে। সরকারি কর্মসূচিগুলো বাইরে ফোকাস করা, জানান দেওয়া, মানুষের সচেতনতা তৈরি করা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব। বার্ষিক কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে এ দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে হবে।